Here is the complete list of drugs banned by Govt of India II ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ ...ডা, পুণ্যব্রত গুণ - suexpress

Header Ads

Here is the complete list of drugs banned by Govt of India II ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ ...ডা, পুণ্যব্রত গুণ

ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ

ডা, পুণ্যব্রত গুণ


ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ
ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ 
পাশের দেশ বাংলাদেশ তার জাতীয় ওষুধ নীতি তৈরি করেছিল ১৯৮২ সালে, যাতে দেশের মানুষ প্রয়ােজনীয় অত্যাবশ্যক ওষুধগুলাে পান, যাতে অপ্রয়ােজনীয় ও ক্ষতিকর ওষুধগুলাে বাজারে না থাকে। বাংলাদেশ আমাদের অনুপ্রাণিত করে, আমরা আওয়াজ তুলিওষুধের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য ওষুধভারতের জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নের দাবীতে, প্রয়ােজনীয় ও অত্যাবশ্যক ওষুধ সহজলভ্য করার দাবীতে, অপ্রয়ােজনীয় ও ক্ষতিকর ওষুধ বাতিল করার দাবীতে পশ্চিমবঙ্গে গড়ে ওঠে Drug Action Forum, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে All India Drug Action Network। ১৯৮৩-র ২৩ শে জুলাই, ভারত সরকার ১২ ধরনের অযৌক্তিক বা ক্ষতিকর ওষুধকে নিষিদ্ধ করে। তারপর ১৯৮১- তে দু’দফায় নিষিদ্ধ হয় আরও ৩ ধরনের ওষুধ, '৮৫-তে ২ ধরনের ওষুধ, ৮৮-তে ২ ধরনের ওষুধ, '৯০-এ ৫ ধরনের ওষুধ। ৯০-এর দশকে ১৯৯১, ৯৪, ৯৫, ৯৬, '৯৭, ৯৮ এবং '৯৯-এ নিষিদ্ধ হয় যথাক্রমে ১৫, ৮, ২, ৩, ১, ৪ এবং ৭ ধরনের ওষুধ। বর্তমান দশকে নিষিদ্ধ ওষুধের সংখ্যা ২০০০ সালে ২, ২০০১-এ ১, ২০০২-এ ১১, ২০০৩ থেকে ২০০৫ প্রতি বছর ১টা করে। ২০০৮-এ আবার ১টা। গত ২৭ বছরে সরকার মােট ৮০ রকমের ওষুধ তৈরি করা, বিক্রি করা বা সরবরাহ করা নিষিদ্ধ করেছেন। ১৯৪০-এর ড্রাগস্ এন্ড কসমেটিক্স আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলােতে রাজ্যের ওষুধ-নিয়ন্ত্রক ও কেন্দ্রে ওষুধমহানিয়ন্ত্রক ওষুধ তৈরি-বিক্রি ইত্যাদির ওপর তদারকি করে। দেশের ওষুধ-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলাে কতটা সক্রিয়-দেখবার জন্য ওষুধের দুটো বাণিজ্যিক তালিকা খুঁজে (73TTI CIMS (Current Index of Medical Specialities)-এর এপ্রিল-জুলাই, ২০১০ সংখ্যা এবং Drug Today-এর এপ্রিল-জুন, ২০১০ সংখ্যা। ওষুধ কোম্পানীগুলাে এই তালিকায় ওষুধের নাম তােলায় পয়সার বিনিময়ে। আশ্চর্য হলাম-৮০ রকম নিষিদ্ধ ওষুধের মধ্যে ৩৮ রকম এখনও বাণিজ্যিক তালিকায় বর্তমান।
  1. > ১৯৮৩-র নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় এক নম্বরে ছিল অ্যামাইডােপাইরিন, আমরা ওষুধটাকে জানি অ্যানালজিন নামে। অ্যানালজিন ব্যবহারে রক্তের দানাদার সাদা রক্ত কণিকা বিপজ্জনকভাবে কমে গিয়ে মারাত্মক জীবাণুসংক্রমণ হতে পারে, শক হতে পারে, লাল রক্ত কণিকা ভেঙে গিয়ে পেচ্ছাপের সঙ্গে হিমােগ্লোবিন বেরােতে পারে। নিষিদ্ধ হওয়ার ২৭ বছর পরেও ওষুধটা পাওয়া যাচ্ছে Analgin (Alkem), Baralgan-M (Sanofi Aventis) Novalgin (Sanofi Aventis) ICT
  2. > ১৯৮৮-তে হাঁপানির ওষুধ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রেশরীরের ভেতরে ব্যবহারের জন্য কর্টিকোস্টেরয়েডের সঙ্গে অন্য কোনও ওষুধের মিশ্রণ নিষিদ্ধ করা হয়। শরীরের ভেতরে ব্যবহারের জন্য ক্লোরামফেনিকালের সঙ্গে অন্য কোনও ওষুধের মিশ্রণও নিষিদ্ধ হয়। তবু Coral Pharma এখনও Cordexa C ইঞ্জেকশন তৈরি করে যাতে ডেক্সামেথাজোনের সঙ্গে ক্লোরামফেনিকল মেশানাে আছে।
  3. > ১৯৯০-এ প্রশান্তিকারক, ঘুমের ওষুধ বা চিন্তানিবারক ওষুধের সঙ্গে জ্বরের ওষুধ বা ব্যথার ওষুধ- মেশানাে নিষিদ্ধ হয়, অথচ অ্যালপ্রাজোলামের সঙ্গে এখনও প্যারাসিটামল মেশাচ্ছে অন্তত দুটো কোম্পানী-Resta (Zuventus), STS (Emcure)।
  4. > ১৯৯১-এ একাধিক অ্যান্টিহিস্টামিনিকের মিশ্রণ। নিষিদ্ধ হয়। তবু Vensat-এর Coldwar Tabletএ সেটিরিজিন ও ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট মেশানাে থাকে। ১৯৯১-এ সালবুটামল বা অন্য কোন শ্বাসনালী প্রসারকের সঙ্গে কাশির দমক কমানাের ওষুধ বা অ্যান্টিহিস্টামিনিক (অ্যালার্জিরওষুধ)-এর মিশ্রণ নিষিদ্ধ হয়। '৯৯-এ আবারও বলা হয় হাঁপানির কাশি কমানাের ওষুধে কাশির দমক কমানাের ওষুধ বা অ্যান্টিহিস্টামিনিক মেশানাে যাবে না। অথচ দেখা যাচ্ছে Abrol Plus (Glenmark) ও Cadicoff (Cadila)-এ টারবুটালিনের সঙ্গে ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট মেশানাে আছে। Ventirex (Unimarck)-এ সালবুটামল মেশানাে আছে সেটিরিজিনের সঙ্গে।
  5. > টেট্রাসাইক্লিন হাড় ও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তাই ১৯৯১ থেকে টেট্রাসাইক্লিনের মুখে খাওয়ানাের তরল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়মকে ফাঁকি দিতে coft 363165 Subamycin Distab (Dey's) ড্যিাব মানে যে বড়ি জলে গােলে, জলে গুলে তাে বড়দের খাওয়ানাে হবে না। বাচ্চাদের নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ানাের জন্যই এ আয়ােজন।
  6. > ১৯৯৪-এ ডায়রিয়ার ওষুধে কেওলিন, পেকটিন, আটাপালগাইট বা সক্রিয় চারকোলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিওমাইসিন, স্ট্রেপ্টোমাইসিন বা ডাইহাইড্রোষ্ট্রেপ্টোমাইসিন মেশানাে বারণ করা হয়েছে। Wyeth-এর Streptomagma-এ কেওলিন, পেকটিন আছে স্ট্রেপ্টোমাইসিনের সঙ্গে।
  7. > এই বছরেই ডায়রিয়ার ওষুধে থ্যালাইল-সালফাথিয়াজোল, সালফাগুয়ানিডিন বা সাকসিনিল সালফাথিয়াজোল মেশানাে নিষিদ্ধ করা হয়। Albert David-এর Enteroguanidine-এ সালফাগুয়ানিডিন আছে।
  8. > ডায়রিয়ার ওযুধে পেটে ব্যথা কমানাের ওষুধ মেশানাে নিষিদ্ধ '৯৪ থেকে, M.M.Laboratoryএর Emantid-M Suspension-এ ফুরাজোলিউন, মেট্রোনিডাজোলের সঙ্গে বেলাডােনা আছে। শরীরের ভেতরে ব্যবহারের জন্য কোন ওষুধে কোন হাইড্রসিকুইনােলিন মেশানাে নিষিদ্ধ হয়েছে ১৯৯৫-এ।Albert David-এর Enteroguanidineএ সালফাগুয়ানিডিনের সঙ্গে হাউড্রসিকুইনােলিনও আছে। হাইড্রসিকুইনােলিন ব্যবহারে জাপানে কয়েক হাজার মানুষ অন্ধ ও পঙ্গু হয়ে যান। বিশ্বজোড়া জনমতের চাপে এই ওষুধের আবিষ্কর্তা কোম্পানী ওষধটা তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। স্ট্রেপ্টোমাইসিন যক্ষ্মারােগের মহৌষধ, তবে এ রােগে স্ট্রেপ্টোমাইসিন ইঞ্জেকশন দিতে হয় ৩০টা বা ৬০টা। অন্য কিছু রােগে অল্প দিন এ ওষুধ দিলে সে রােগ হয়ত সারে, কিন্তু শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু থাকলে তা স্ট্রেপ্টোমাইসিন-প্রতিরােধী হতে পারে। ১৯৯৭ সালে তাই পেনিসিলিনের সঙ্গে স্ট্রেপ্টোমাইসিনের নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ নিষিদ্ধ হয়েছে। এখনও Alembic-এর Bistrepen, Bistrepen Forte Bistrepen Paediatric এ দুটো ওষুধ মেশানাে আছে।
  9. > ১৯৯৮ থেকে ওষুধে স্বাভাবিক বা কৃত্রিম কোন হিমােগ্লোবিন মেশানােই নিষিদ্ধ। রক্ত তৈরির অন্তত ৪টে ওষুধ আছে, যাতে হিমােগ্লোবিন আছে—Heam Up (Cadila), Haem Up Gems (Cadia), Hemfer (Alkem) Hepp Forte (Lupin)
  10. > উৎসেচক (enzyme) গুলাে প্রােটিন, মুখে খেলে পাকস্থলী প্রােটিনপাচক রস সেগুলােকে নষ্ট করে দেয়। এক মাত্র প্যানক্রিয়াটিন উৎসেচক কাজের, যখন অগ্ন্যাশয়ের কিছু রােগে প্যানক্রিয়াটিন ক্ষরণ হয় না। প্যানক্রিয়াটিন বিশেষ ক্যাপসুলের মােড়কে খেতে হয়, যে মােড়ক পাকস্থলী পেরিয়ে গেলে। ১৯৯৮ থেকে প্যানক্রিয়াটিন ও প্যানক্রিয়ালাইপেজের সঙ্গে অন্য উৎসেচক। মেশানাে নিষিদ্ধ। Dispeptal (Sanofi Aventis). Enzar Forte (Elder), Enzovit (Ethix HC) 3 Festal (Sanofi Aventis) আইন ভাঙার উদাহরণ।
  11. > ওই বছরই ভিটামিন বি, ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি,-এর নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ নিষিদ্ধ করা হয়। আইনের ফাঁক খুঁজে ওষুধ কোম্পানীগুলাে এই তিনটের সঙ্গে আরও কিছু মিশিয়ে ফরমুলেশন বানায়। এমন ওষুধের সংখ্যা কয়েকশ'। 
  12. > ২০০১ থেকে মৃগীর ওষুধ ফেনােবার্বিটোনের সঙ্গে হাঁপানির ওষুধের মিশ্রণ নিষিদ্ধ। ফেনােবার্বিটোনের সঙ্গে এফিড্রিন ও অ্যামাইনােফাইলিন মিশিয়ে তৈরী Zydus-93 Cortasthma l
  13. > ২০০১ থেকে মৃগীর ওষুধ ফেনােবার্ডিটোনের সঙ্গে পেট ব্যথার ওষুধ হায়ােসিন বা হায়ােসায়ামিনের মিশ্রণ নিষিদ্ধ। ফেনােবার্বিটোনের সঙ্গে হায়ােসিন ও হায়ােসায়ামিন মিশিয়ে তৈরি Novartis-এর Belladenal-In
  14. > ২০০১ থেকে মনােরােগের ওষুধ হ্যালােপেরিডলের সঙ্গে প্রােপাথালিন ব্রোমাইড মেশানেনা বারণ। RPG Serebanthine তৈরি করেছে পেট ব্যথা কমানাের জন্য, এ দুটো মিশিয়ে। ২০০১ থেকে জীবাণুনাশক ন্যালিডিসিক অ্যাসিডের সঙ্গে মেট্রোনিডাজোল বা অন্য আমাশার ওষুধ মেশানাে বারণ। ন্যালিডিসিক অ্যাসিডের সঙ্গে মেট্রোনিডাজোলের মিশ্রণ আছে এমন অন্তত ১৩টা ফরমুলেশন আছে। একটা উদাহরণ Gramoneg-M (Ranbaxy)! ওই বছর থেকেই পায়খানার সংখ্যা কমানাের ওষুধ আসলে অন্ত্রের গতি কমানাের ওষধ লােপেরামাইডের সঙ্গে জীবাণুনাশক ফুরাজোলিন মেশানাে নিষিদ্ধ হয়। লােপেরামাইড পায়খানা বাৱে কমালেও এ ওষুধে শরীর থেকে লবণ-জল বেরােনাে বন্ধ হয় না, রােগীর পায়খানা বারে কমে যায় বলে তিনি অসাবধান থাকেন, নির্জন মারাত্মক রকম বেড়ে যায়। বাজারে এই নিষিদ্ধ মিশ্রণ পাওয়া যায় Imozol (J & J), Imosec-F (J&J) এবং Klassak (Shreya) নামে।
  15. > সাইপ্রােহেপ্টাডিন আসলে অ্যালার্জির ওষুব, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় খিদে পায়। ওষুধ কোম্পানীগুলাে একে খিদের ওষুধ বলে চালায়। ২০০১-এ সরকার এর সঙ্গে লাইসিন ও পেটোন মেশানাে নিষিদ্ধ করে। তাও বাজারে আছে Cypee (Comed), Cyprowal (Wellace) নামে। মেটোক্লোপ্রামাইড অন্ত্রের গতি বাড়ায়, বমির ভালাে ওষুধ। কিন্তু এর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে মাত্রা বেশি হলে। অ্যাস্পিরিন বা প্যারাসিটামলের সঙ্গে ছাড়া অন্য ওষুধের সঙ্গে এর মিশ্রণ নিষিদ্ধ ২০০১ থেকে। তবু এর সঙ্গে সাইমেথিকোন বা ডাইমেথিকোন মিশিয়ে তৈরী হয় যথাক্রমে Nausifar MPS (Infar) | Reg-MPS (CFL Pharma) 1 অ্যালার্জির ওষুধ অ্যাস্টেমিজোল ও টারফেনাডিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২০০২-এ। CIMS-এ 
  16. প্রথম ওষুধটা পেলাম Acemiz (Lupin), Astelong (Torrent) Stemiz (Cadila HC) GTI
  17. দ্বিতীয়টা পাওয়া গেল Daylert (Micro Labs), Therfed (Cipla), Trexyl (Ranbaxy) 3 Zoter (Cadila) নামে, তাছাড়া দ্বিতীয়টা আরও তিনটে ফরমুলেশনে অন্য ওষুধের সঙ্গে মেশানাে।
  18. > ডায়াবেটিস চিকিৎসার ওষুধের একটা গােষ্ঠী বাই গুয়ানাইডস, সদস্য—ফেনফরমিন ও মেটফরমিন ফেনফরমিন নিষিদ্ধ ২০০৩ থেকে, তবু তালিকায়। আছে DBI ও DBI TD নামে।।
  19. > ব্যথারওষুধ ভ্যালডেকসিব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৫ সালে, এখন একক ওষুধটা পাওয়া যাচ্ছে। অন্তত ২২টা ব্র্যান্ডে, মিশ্রণে আরও অন্তত ৫টা। প্রস্তুত করছে Ranbaxy, Piramal HC, IPCA, 


Cadia, Torrent-এর মত নামী কোম্পানী।। আমার তৈরী তালিকা দেখে অসুখ-বিসুখ’ পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী সদস্য ডা. স্বপন কুমার জানা সন্দেহ।

প্রকাশ করেন—সত্যিই এসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়? সন্দেহ প্রকাশ করেন মান্থলি ইনডেক্স অফ মেডিক্যাল স্পেশালিটির সম্পাদক ডা. সি এম গুলাটিও। তাদের বক্তব্য CIMS বা Drug Today নিজেদের তালিকা আপডেট করে না, তাই বাজারে পাওয়া যায় না এমন ওষুধের নামও তাদের তালিকায় থাকতে পারে। কি ভয়ংকর ব্যাপার।। ওষুধ নিয়ন্ত্রকরা কি খতিয়ে দেখবেন সত্যিই নিষিদ্ধ ওষুধ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কিনা।
READ MORE>>







No comments

Powered by Blogger.